রমজানে লেবুর দাম আকাশছোঁয়া: অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি

রমজানে লেবুর দাম আকাশছোঁয়া: অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি

 স্টাফ রিপোর্টার

রমজান মাস এলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া যেন এক রকম স্বাভাবিক নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। রোজাদারদের ইফতারে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান লেবুর দাম হঠাৎ করেই আকাশচুম্বী হয়ে গেছে। মাত্র কিছুদিন আগেও যে লেবু ৫-৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল, এখন সেটির দাম প্রতি পিস ২৫-৩০ টাকা। কোথাও কোথাও ৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে! কেন এত দাম বেড়েছে? বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লেবুর এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে রয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি। পাইকারি বাজার থেকেই কৃত্রিম সংকট তৈরি করে লেবুর সরবরাহ কমিয়ে দিচ্ছেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। ফলে খুচরা বাজারে এসে দাম বেড়ে যাচ্ছে কয়েকগুণ। একজন ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "রমজান আসলেই বাজারের সব জিনিসের দাম বেড়ে যায়। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ান। লেবুর মতো একটা সাধারণ জিনিসের দাম এত বাড়বে, ভাবতেও পারিনি!" ব্যবসায়ীদের অজুহাত ব্যবসায়ীদের দাবি, লেবুর উৎপাদন কম, তাই দাম বেড়েছে। কিন্তু কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লেবুর ফলন এবার যথেষ্ট ভালো হয়েছে। তাহলে দাম বাড়ল কেন? মূলত ব্যবসায়ীদের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও মজুতদারির কারণেই বাজারে দাম বাড়ছে। প্রশাসনের ভূমিকা কী? বাজার মনিটরিং জোরদার না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছেন। যদিও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মাঝে মাঝে অভিযান চালাচ্ছে, তবে তা যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন সাধারণ জনগণ। একজন বাজার বিশ্লেষক বলেন, "রমজান মাস এলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে যায়। এটি ব্যবসায়ীদের একটি সাধারণ কৌশল। প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে, নয়তো সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়তেই থাকবে।" কী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার? বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করতে হবে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে লেবু সংগ্রহের ব্যবস্থা করতে হবে ক্রেতাদের সচেতন হতে হবে এবং অতিরিক্ত দাম দিয়ে পণ্য না কেনার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার স্বার্থে এবং সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য সরকারের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। অন্যথায়, প্রতি বছর একই সমস্যার পুনরাবৃত্তি ঘটবে, আর সাধারণ মানুষ ঠকতেই থাকবে।